, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪ , ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মাওলানা সাদকে আসতে দেয়া হলে সরকারকে পালাতে হবে: আলেম-ওলামাদের হুঁশিয়ারি

  • আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৪ ০৩:৩৬:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৪ ০৩:৩৬:৪০ অপরাহ্ন
মাওলানা সাদকে আসতে দেয়া হলে সরকারকে পালাতে হবে: আলেম-ওলামাদের হুঁশিয়ারি
এবার বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলিগের সাধারণ সাথী ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। তারা তাবলীগ জামাতের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে তারা এই হুঁশিয়ারি দেন।

এতে মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর মধুপুর) বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। আমি বলব, কিসের পরামর্শ, এই সম্মেলন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সরকারকে এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। ভিন্ন কোনো চিন্তা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

সরকারকে সহযোগিতা করবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সরকারকেও আলেমদের সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো পূর্ববর্তী সরকারের মতোই তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যদি বেয়াদবকে বাংলাদেশে আসতে দেয়, তাহলে সরকারকেও পালিয়ে যেতে হবে। এদিকে জামেয়া হোসাইনিয়া মিরপুর মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বলেন, মাওলানা সাদকে আনার কোনো ষড়যন্ত্র যদি চলে, তাহলে তিনি যেদিক দিয়েই আসবেন সেদিক দিয়ে লংমার্চ চলবে।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্বঘোষিত আমির সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সেটি হতে দেব না। তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেব।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আপনাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্রজনতার আন্দোলনে অনেক ওলামায়ে কেরাম শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা শাপলা চত্বরে জীবন দিয়েছি। আওয়ামী জালিম সরকারের অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আজকের সম্মেলন থেকে ওলামায় কেরামের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা দেয়া হবে, সরকারকে সেই নির্দেশনা মানতে হবে। এর বাইরে কারও সিদ্ধান্ত তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না।

উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমার ইতিহাস ৫৮ বছরের। তবে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি এবং বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীরা ২০১৯ সালে নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেন। মাঝে কোভিড মহামরির কারণে ইজতেমা দুই বছর বন্ধও রাখা হয়। পরে ২০২২ সাল থেকে ফের ইজতেমা হচ্ছে দুই পর্বের আয়োজনে। 
সর্বশেষ সংবাদ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন, আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন, আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল